প্রেগন্যান্সি টেস্ট
শুধুমাত্র একটি লক্ষণ দেখেই নারীরা বলতে পারেন তারা প্রেগন্যান্ট কি না। প্রেগন্যান্সির লক্ষণ দেখলে আপনার উচিত প্রথমেই হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট (HPT) করা অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট (HPT)
প্রথম লক্ষণের সময় (পিরিয়ড বন্ধ থাকা) হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন। এই টেস্ট এর মাধ্যমে ইউরিনে হিউমেন কোরিওনিক গোনাডট্রপিন (HCG) পরিমাপ করা হয় যা শুধুমাত্র প্রেগন্যান্সির সময়ই আপনার দেহে পাওয়া যাবে। একটি স্টিক এর মাধ্যমে এই টেস্ট করা হয়, যা এই হরমোন এর সংস্পর্শে আশা মাত্রই রঙ পরিবর্তন করবে। এই টেস্ট করতে সাধারণত ১০ মিনিট সময় লাগে, তবে সময়ের পরিমান কমবেশি হতে পারে। সঠিক রেজাল্ট পাবার জন্য এই টেস্ট কমপক্ষে দুইবার করা দরকার। যদি তারপরও নিশ্চিত হতে না পারেন এবং পিরিয়ড বন্ধ থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ক্লিনিকাল ইউরিন টেস্ট
ক্লিনিকাল ইউরিন টেস্ট বলতে বোঝায় ডাক্তারের চেম্বারে ইউরিন টেস্ট করা। এই টেস্টের মাধ্যমে হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট অপেক্ষা নির্ভুল রেজাল্ট পাওয়া যায়। ক্লিনিকাল ইউরিন টেস্ট এর খরচ হোম প্রেগন্যান্সি টেস্টের চেয়ে বেশি হলেও নির্ভুলতার মাত্রা বেশি।
ব্লাড টেস্ট
এই টেস্ট এর মাধ্যমে রক্তের HCG এর মাত্রা নিরুপন করা হয়। এই টেস্ট এর মাধ্যমে সবচেয়ে সঠিকভাবে এমনকি ইউরিন টেস্ট এর আগেই প্রেগন্যান্সির নির্ভুলতা যাচাই করা যায়।
প্রেগন্যান্সি ব্লাড টেস্ট দুই ভাবে করা যায়-
১. কোয়ালিটেটিভ HCG ব্লাড টেস্ট
এই টেস্ট এর মাধ্যমে রক্তে HCG এর উপস্থিতি আছে কি না শুধু হ্যাঁ-না প্রশ্নের মাধ্যমে জানা যায়।
২. কোয়ানটিটেটিভ HCG ব্লাড টেস্ট
এই টেস্ট রক্তে HCG এর পরিমাণ নির্ধারণ করে থাকে। এর মাধ্যমে রক্তে কি পরেমাণ HCG আছে তা জানা যায়। রক্তে অল্প পরিমাণ HCG থাকলেও তা এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে। উপরের টেস্ট থেকে এই টেস্ট অধিকতর নির্ভুল।